
পরম মুক্তি লাভ
সারসংক্ষেপ
এটা মনে হতে পারে যে দুর্ভোগ চিরকাল চলতে থাকবে, কিন্তু প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন যে এটি একদিন শেষ হবে। তিনি তাঁর লোকেদের “স্বর্গের রাজ্য” নামক একটি স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পৃথিবীতে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই বিস্ময়কর জায়গায়, কোনো দুঃখ নেই, কোনো মৃত্যু নেই, এবং পুনর্জন্মের কোনো চক্র নেই। আমরা সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের সঙ্গে চিরকাল বাস করব! এই পুস্তিকাটি আমাদের বলে যে কীভাবে আমরা আমাদের চূড়ান্ত মুক্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে পারি।
প্রকাশনার ধরণ
পুস্তিকা
প্রকাশকগণ
Sharing Hope Publications
যে ভাষায় পাওয়া যাবে:
8 ভাষাগুলো
পৃষ্ঠাগুলো
6
গঙ্গার তীরে, অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠানের সময়, একজন পুরোহিত মৃত আত্মার এক দেহ থেকে অন্য দেহে মোক্ষের চূড়ান্ত গন্তব্যে যাত্রা ব্যাখ্যা করছেন। ভিড়ের মধ্যে একটি ছোট ছেলে কৌতূহলী হয়ে শুনছিল। হঠাৎ সে তার পাশের একজনের দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করল, “এর শেষ কবে হবে?”
সে এমন একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করল যা অনেককেই অবাক করে। কতবার জন্ম এবং পুনর্জন্ম নেবার পর আমরা এই বেদনাদায়ক চক্রটি থেকে রেহাই পাব? অতীতে অসংখ্যবার এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তথাপি এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া
যায় না।
জন্ম, মৃত্যু এবং দুঃখ-কষ্টের চক্র এই পৃথিবীতে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই জগতের বাইরে, যে স্থানে ঈশ্বর আছেন, সেখানে দুঃখ-বেদনার কোনও চক্র নেই—আছে শুধু অনন্ত, অফুরন্ত সুখ। সৌভাগ্যক্রমে, আমাদের লক্ষ লক্ষবার মৃত্যুবরণ ও পুনর্জন্মলাভ করার বেদনা সহ্য করে কষ্ট এবং সংগ্রাম থেকে মুক্তি পাবার প্রয়োজন নেই। আপনাকে আমি খুব আকর্ষণীয় একটি বিষয় বলতে চাই।
চিরতরে দুঃখ-কষ্ট থেকে অব্যাহতি!
অনেক কাল আগে, প্রভু যীশু মানব রূপে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। তিনি অসুস্থ লোকদের সুস্থ করেছিলেন এবং আরও অনেক আশ্চর্য কাজ করেছিলেন। আরও তিনি “স্বর্গরাজ্য” নামে বিশেষ একটি স্থানের বিষয়েও শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে স্বর্গ এমন একটি স্থান যেখানে কোনও রোগ নেই, কোনও যন্ত্রণা নেই, এবং পুনর্জন্মের প্রয়োজন নেই। সেই সুন্দর জায়গায়টিতে প্রত্যেকেই চিরকাল বেঁচে থাকে।
প্রভু যীশু এই বিস্ময়কর রাজ্যের বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন, এবং তারপর তিনি আমাদেরকে আমাদের মন্দ কাজের পরিণতি থেকে মুক্ত করতে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যাতে আমরা ইচ্ছা করলে সেখানে যেতে পারি।
তাঁর উৎসর্গরূপ মৃত্যুর তিন দিন পর, তিনি কবর থেকে উঠলেন এবং স্বর্গ রাজ্যে আরোহণ করলেন। তিনি তাঁর অনুগামীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে পৃথিবীর অন্তিম মুহূর্তে তিনি তাদের স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফিরে আসবেন।
এটা কি একটি সুন্দর ভবিষ্যতের মত শোনাচ্ছে না? প্রভু যীশু চান যেন আমরা প্রত্যেকে পরিত্রাণ লাভ করি—যেন দুঃখ থেকে চিরতরে মুক্তি পাই। কিন্তু সেই ছোট ছেলেটি যেমন প্রশ্ন করেছিল “এর শেষ কবে হবে,” আমরাও ভাবি যে আমাদের মুক্তি পেতে কতক্ষণ লাগবে।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রত্যাবর্তন
আকর্ষণীয় বিষয় হল, প্রভু যীশুর শিষ্যরা একই প্রশ্ন করেছিলেন—এর শেষ কখন হবে? প্রভু যীশু বর্ণনা করেছেন যে, এই যুগের শেষ দিনগুলিতে একাধিকবার তীব্র ভূমিকম্প, যুদ্ধ, অনাহার, সাংঘাতিক ব্যাধি, এবং মহামারী হবে। যখন লোকেরা সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে দেখবে, ভয়ে তাদের হৃদযন্ত্র স্তব্ধ হয়ে যাবে। এগুলো হবে প্রভু যীশুর আগমনের লক্ষণ। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমরা পৃথিবীর শেষ কালে বাস করছি কারণ এই সমস্ত লক্ষণগুলি ঘটছে।
শীঘ্রই, প্রভু যীশু তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে ফিরে আসবেন। মৃত ব্যক্তিদেরকে মাটি থেকে উঠানো হবে এবং তাদেরকে নিখুঁত নতুন দেহ দেওয়া হবে, যেমন বাইবেল বলে, “প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন। আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে” (পবিত্র বাইবেল, ১ থিষলনীকীয় ৪:১৬)।
তখন, আমাদের চির চেনা পৃথিবীটি ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং মন্দতা নির্মূল করা হবে। আমরা স্বর্গে গিয়ে এক হাজার বছর সুখে বসবাস করব। তারপর, প্রভু যীশু এই জগৎটাকে সৌন্দর্য এবং পরিপূর্ণতা দিয়ে পুনঃসৃষ্টি করবেন—যা হবে মৃত্যু, ব্যথা, অসুস্থতা, বিষণ্ণতা, এবং একাকীত্ব থেকে মুক্ত। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে যারা তাঁর পথ অনুসরণ করে তাদের প্রত্যেকের সেখানে থাকার নিশ্চয়তা রয়েছে। এটিই হল যীশুর সেই পথ।
পরম মুক্তি লাভ
প্রভু যীশু তাঁর প্রত্যাবর্তনের সঠিক দিন বা সময় প্রকাশ করেননি, তবে তিনি তাঁর অনুগামীদের অনেক সুনির্দিষ্ট লক্ষণের কথা বলে দিয়েছেন, যা দেখে আমরা জানতে পারব যে তাঁর আগমন খুব কাছাকাছি—এমনও হতে পারে যে তা আপনার-আমার জীবনকালেই হবে। কি চমৎকার খবর! প্রভু যীশুর আগমনের সময়ে, আমরা আমাদের মন্দ কাজের পরিণতি থেকে নিষ্কৃতি পাব!
যদি আপনি স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশকারীদের মধ্যে থাকতে চান, তবে যীশুর পথটি অনুসরণ করার জন্য তিনটি সহজ পদক্ষেপ রয়েছে:
১। প্রভু যীশুর প্রতি বিশ্বাস রাখুন। যখন যীশু তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তিনি প্রত্যেকের মন্দ কাজের পরিণতি বহন করেছিলেন। তিনি এই কাজটি স্বেচ্ছায় করেছিলেন যেন তিনি আমাদেরকে সেগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারেন। আপনি এই উপহারটি গ্রহণ করতে আপনার সমস্ত হৃদয়, আত্মা এবং মন দিয়ে এতে বিশ্বাস করতে পারেন।
২। প্রভু যীশুর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলুন। প্রভু যীশু চান না যেন আমরা কেবলমাত্র ধর্মীয় কর্তব্যের একটি তালিকা অনুসরণ করি; তিনি চান যেন আমরা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমরা যেভাবে একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে কথা বলি, তেমনি আমাদের মন খুলে আমাদের সব গোপন কথাগুলো বলে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে পারি। প্রভু যীশু তাঁর আত্মার মাধ্যমে প্রতিদিন আমাদের সাথে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে আমরা যে কোনও সময় তাঁর সাথে কথা বলতে পারি।
৩। প্রভু যীশুর উপদেশগুলি অনুসরণ করুন। প্রভু যীশু বলেছিলেন যে তাঁর আগমনের জন্য আমাদের অবশ্যই সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রভু যীশুর প্রতি একটি নিবেদিতপ্রাণ জীবনযাপন করার অর্থ এই যে, আমরা তাঁর আদেশগুলি মেনে চলব, তাঁকে আমাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে ভালবাসব, এবং মেঘযোগে তাঁর আগমনের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকব। প্রভু যীশুর অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের যা জানা দরকার তার সবকিছুই আমরা বাইবেলে খুঁজে পাব।
আপনি যদি জানতে চান যীশুর প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিতে কীভাবে তাঁর পথটি অনুসরণ করবেন, তাহলে এই কাগজের পেছনে দেওয়া তথ্য অনুসারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
Copyright © 2023 by Sharing Hope Publications. এখানে অন্তর্ভুক্ত কাজ অনুমতি ছাড়াই অ-বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মুদ্রণ এবং বণ্টন করা যেতে পারে।শাস্ত্রের কথাগুলো নেয়া হয়েছে পবিত্র বাইবেল (কেরী ভার্সন) (ROVU) থেকে।
আমাদের সংবাদপত্র পাবার জন্য নিবন্ধন করুন
নতুন প্রকাশনাগুলো বের হলে সবার আগে জানুন!

আপনার শ্রোতাদের খুঁজুন
বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রকাশনাসমূহ
© 2023 Sharing Hope Publications